এম এম রুহেল জৈন্তাপুর
বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী জৈন্তাপুর উপজেলার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ। ভারতে, জুয়াই,মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা।শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ মানুষের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হয় । উপজেলার নিন্মঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিদূৎ বিচ্ছিন্ন ছিলো। বাড়ি ঘরে ব্যাবসা প্রতিষ্টানে পানি ঢুকে পড়ায় দিন মজুর, শ্রমিক শ্রেণির মানুষদেরকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।এমতাবস্থায় প্রবাসী কমিউনিটি নেতা রোটারিয়ান আব্দুল গাফফার চৌধুরী গত তিন দিন থেকে তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে পানি বন্দি মানুষের মধ্যে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ত্রান বিতরণ করেন।
জৈন্তাপুর উপজেলার ১নং নিজপাট ও ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম ও আশ্রয়কেন্দ্র। ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম। ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের গর্দ্দনা, কাঞ্জর, সেনগ্রাম, মুঠগুঞ্জা, চাল্লাইন, মহাইল, ছাতারখাই, কান্দিগ্রাম, দিঘিরপাড়, খড়িকাপুঞ্জি, শুকইনপুর, ফরফরা, রণি-সরুফৌদ, বিছনাটেক সহ ইউনিনের প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে। ৫নং ফতেহপুর তথা হরিপুর ইউনিয়নের হেমু, লামাশ্যামপুর সহ পানি বন্দি অন্যান্য গ্রাম এবং ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি ও অন্যান্য গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি বন্দি অসহায় পরিবার সদস্যদের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়।
প্রবাসী আব্দুল্ গাফফার চৌধুরী বার্তা প্রেরক কে বলেন, দেশের বাহিরে থাকলেও সার্বক্ষণিক এলাকার খোজখবর নিয়েছি। জৈন্তাপুর উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে অবিলম্বে সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
এবং তিনি আর বলেন বন্যা পরবর্তি মানুষের খুজঁ খবর নিয়ে সহযোগিতা আমার আব্যাহত আছে।